রিয়াদ ভাইয়ের জায়গায় শামীম-আফিফ না, দলে এসেছিল তাওহীদ হৃদয় – সাকিব

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১ রানে হারলো বাংলাদেশ। সুপার ফোরে সাকিব আল হাসানের দলের এটি দ্বিতীয় হার। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেন সাদিরা। এ ছাড়া ফিফটি করেন কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন তাসকিন-হাসান। ২টি উইকেট নেন শরিফুল। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থামে ২৩৬ রানে। সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন হৃদয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। লঙ্কানদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন থিকাশান, পাথিরানা ও শানাকা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে সাকিব বলেন ‘ব্যাটিং নিয়ে আমি অবশ্যই চিন্তিত। বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা ভালো ব্যাটিং করছি না। সে জায়গাগুলো দেখার এবং চিন্তা করার আছে যে কিভাবে ঠিক করতে পারি’।

বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্ট খুবই কাজে দিয়েছে। ‘রিয়েলিটি চেক’টা দরকার ছিল আমাদের।’’
এখন দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আর বড় আসরে খেলা বাংলাদেশ দলের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্যও ধরা পড়ছে বাংলাদেশ অধিনায়কের চোখে, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আমরা সবসময়ই ভালো খেলি। বলতে পারবেন না যে আমরা কখনো খারাপ দল ছিলাম। এরকম বড় টুর্নামেন্টগুলোতেই আমাদের বড় পরীক্ষাগুলো হয়। যেখানে আমরা কখনোই আহামরি কিছু করি না। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিতেছি ৩টি ম্যাচ, ২০১১-র বিশ্বকাপেও তা-ই। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালেও সেই তিনটি করেই জয়। অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। কিন্তু যখনই ‘রিয়েলিটি চেক’টা হয়, তখন কিন্তু আমরা ব্যর্থই হয়েছি। এটি ভালো যে বিশ্বকাপের আগে আগে এই টুর্নামেন্টটি হয়েছে। সবাই অবশ্যই চিন্তা করবে এই সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়। তখন হয়তো আরো ভালো হবে।’’

এসময় এক সাংবাদিক রিয়াদকে নিয়ে প্রশ্ন করলে সাকিব বলেন, এটা অপ্রাসঙ্গিক। তারপরও এক সাংবাদিক বলেন রিয়াদের জায়গায় যারা খেলছে তাদের কি দেখলেন?

সাকিব তখন বলেন, ‘রিয়াদ ভাইয়ের জায়গায় শামীম-আফিফ না, দলে এসেছিল তাওহীদ হৃদয়‘।