আমি চেষ্টা করি সবসময় ইসলাম মেনে চলার জন্য – সাকিব

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে কলম্বোয় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচটিতে ৬ রানে জয় পায় লাল-সবুজের দল। যেখানে শেষদিকে ব্যাট হাতে নেমে ৮ বল খেলে এক চার ও এক ছক্কার সাহায্যে ১৪ রান করেন তানজিম সাকিব। আর বল হাতে ৭.৫ ওভারে ১টি মেডেন ও ৩২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। সেখানে ভারতের দলপতি ও অন্যতম ভরসার নাম রোহিত শর্মার উইকেটও রয়েছে। রয়েছে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান তিলক ভার্মার উইকেটও।

তবে এই ম্যাচের পরেই নেটিজেনদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তানজিম সাকিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কয়েকটি স্ট্যাটাসে নজর পড়ে নেটিজেনদের। সেগুলোতে নারীদের নিয়ে আপত্তিকর কথা বলার অভিযোগ ওঠে।

মাস খানেক আগে এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট আমার পেশা। এখান থেকে আমি উপার্জন করি। কিন্তু আমার আসল জীবন হলো… আমি পরকালে যদি সফল হতে না পারি তাহলে আসলে আমি ব্যর্থই থেকে যাব। আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি আল্লাহর জন্য। কারণ সবাইকেই একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। কখন কে মারা যাবে, কেউ জানে না। তাই আমি চেষ্টা করি সবসময় ইসলাম মেনে চলার জন্য, ইসলামের মধ্যে থাকার জন্য।’

‘আর এই জিনিসটা আমার খেলাকেও অনেক সাহায্য করে। আমাকে শৃঙ্খল থাকতে শেখায়। মানসিকভাবেও আমি শক্ত থাকি। আমার অন্য কোনো দিকে নজর যায় না, একদিকেই ফোকাস ধরে রাখতে পারি। এটা আমাকে দুনিয়া ও আখিরাত দুই দিকেই সাহায্য করছে।’–যোগ করেন সাকিব।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সাকিবের সমালোচনা করলেও তার বন্ধু মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তার পাশে আছেন। এছাড়া অন্য অনেকে ধর্মীয় বিষয়ে জানতে এই দুই ক্রিকেটারের শরণাপন্নও হন। বাইরের মানুষের এমন বাঁকা কথায় মোটেও কান দেন না সাকিবরা।

তানজিম সাকিব বলছিলেন, ‘সতীর্থরা খুবই ইতিবাচকভাবে দেখেন। যখনই তারা কিছু একটা না বোঝে বা ইসলামিক কোনো বিষয় জানার প্রয়োজন হয়, আমাদের দুইজনের কাছে আসে। আমরা যদি তাহলে আমরা বলি নাহলে বিভিন্ন স্কলারের কাছে প্রশ্ন করে ওদেরকে উত্তর জানাই।’