আবারও ধাক্কা লঙ্কান শিবিরে, ছিটকে তিন পেসারই

এশিয়া কাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এসে ইনজুরির তালিকা লম্বা হচ্ছে শুধু শ্রীলঙ্কা দলে। এবার ইনজুরিতে পড়ে এশিয়া কাপ পুরোটাই মিস করতে যাচ্ছেন পেসার দিলশান মধুশঙ্কা। এছাড়া আরেক পেসার লাহিরু কুমারাও পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন। আগেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন দুষ্মন্তে চামিরা।

একের পর এক বোলারদের ইনজুরি দারুণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্টকে। দলের সেরা তিন পেসারই এরই মধ্যে ছিটকে গেলেন এশিয়া কাপ থেকে।

এছাড়া লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও ইনজুরিতে আক্রান্ত। উরুতে গ্রেড টু স্ট্রেইন থেকে ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। সুপার ফোরে উঠলে, তখন হয়তো খেলতে পারবেন।

এমন পরিস্থিতিতে পুরো বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়েই তুমুল ঝামেলায় পড়ে গেছে লঙ্কানরা। সর্বশেষ দিলশান মধুশঙ্কার ইনজুরি তাদের চরমভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।

বোঝাই যাচ্ছে, এশিয়া কাপের আগে এলপিএল আয়োজন করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড কতটা ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে পুরো দলকে। শুক্রবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে পাঁজরের পেশিকে টান লাগে মধুশঙ্কার। এটাই এখন তার জন্য বড় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপে তো তার খেলা হবেই না, অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেও তিনি ভালোভাবে ফিট হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কা দলের মেডিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর অর্জুনা ডি সিলভা।

অন্যদিকে সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে আক্রান্ত ২৬ বছর বয়সী লাহিরু কুমারা। তার চোট অতটা গুরুতর না হলেও ধারণা করা হচ্ছে যে তিনি এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না। সুতরাং কুমারা, চামিরা এবং মধুশঙ্কা- এই তিন পেসারই ছিটকে গেলেন লঙ্কান দল থেকে।

উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপ অভিযান। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে।