বছরের পর বছর ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে আসে। কিন্তু ছবিটা বদলায় না। এ বারেও সিরিজ জেতা হচ্ছে না রোহিত-কোহলিদের। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিয়ানে ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ ভারত। ৩২ রান এবং ইনিংসে হারলেন সফরকারীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ব্যাট করতে পারেননি অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তাতেও ভারতের হার আটকায়নি।
টেস্টের প্রথম দিনেই ফিল্ডিং করতে নেমে পায়ে টান লেগেছিল অধিনায়ক বাভুমার। তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। ব্যাটও করেননি। তার পরেও দক্ষিণ আফ্রিকা একটি মাত্র ইনিংস ব্যাট করেই ম্যাচ জিতে নিল।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ২৪৫ রান। সেই ইনিংসে লোকেশ রাহুল ১০১ রানের ইনিংস না খেললে আরও কম রানে শেষ হয়ে যেত ভারত। সেই ইনিংসে রোহিত, যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিলেরা দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামলাতে ব্যর্থ হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও তফাত কিছু হল না। প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন যশস্বী। উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনে সেই ক্যাচ ফেলে দেন। এ ছাড়াও আরও তিনটি ক্যাচ ফেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডারেরা। না হলে বৃহস্পতিবার হয়তো আরও আগে শেষ হয়ে যেত ভারত।
প্রথম ইনিংসে কাগিসো রাবাডা ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে নান্দ্রে বার্গার নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নেন মার্কো জানসেন। দুই বাঁহাতি পেসার বুঝিয়ে দিলেন ভারতের ব্যাটারদের খামতি কোথায়। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে খেলতে হলে বাউন্স এবং সুইং দুটোই সামলাতে হয়। ভারতীয় ব্যাটারেরা সেটাই পারলেন না। এর মাঝেই বিরাট কোহলি দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। ১২টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন বিরাট। এক দিনের ক্রিকেটের মেজাজে ছিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন পাল্টা মারের পথ নিলে বার্গারদের সামলানো সম্ভব, কিন্তু পুরো টেস্ট সে ভাবে খেলা সম্ভব নয়। দ্বিতীয় টেস্টের আগে ভারতকে রাবাডাদের সামলানোর উপায় বার করতে হবে।
শুধু ব্যাটারেরা নন, এই হারের দায় নিতে হবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদেরও। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে যশপ্রীত বুমরা ছাড়া বাকি কোনও বোলারকে সামলাতে বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জীবনের শেষ টেস্ট সিরিজ় খেলতে নেমে ১৮৫ রান করে ম্যাচের সেরা হওয়া ডিন এলগার শুধু বুমরার ওভারগুলি দেখে খেলছিলেন। ভারতের বাকি বোলিংয়ের হাল বোঝাতে জানসেনের করা ৮৪ রানের ইনিংস যথেষ্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দু’টি টেস্টের সিরিজ় খেলতে এসেছে ভারত। কেপ টাউনে পরের বছর ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা টেস্ট জিতলেও সিরিজ জিততে পারবেন না রোহিতেরা। লক্ষ্য এখন সিরিজ বাঁচানোর।