[চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ বি এর ম্যাচে ঘরের মাঠে টোটেনহামের প্রতিপক্ষ অলিম্পিয়াকোস। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগে হটস্পারদের ম্যানেজার হিসেবে পুনরায় ফিরলেন স্পেশাল ওয়ান মরিনহো। শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল মরিনহোর শিষ্যরা। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে কেইনের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লীগে রাজসিক প্রত্যাবর্তন করলেন মরিনহো।
প্রথমার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক টোটেনহাম। খেলার ৬ মিনিটেই লিড নেয় গ্রিসের দলটি। আল-আরাবীর দূর পাল্লার শটে শুরুতেই এগিয়ে যায় অলিম্পিয়াকোস।
১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অলিম্পিয়াকোসের সেমেডো। গুইলহেরেমের বাড়ানো পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করেন সেমেডো।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের খেলায় একটি গোল পরিশোধ করে স্বাগতিক টোটেনহাম। ৪৫+১ মিনিটে অরিয়েরের এসিস্টে গোল করে স্কোরকার্ড ২-১ করেন ডেলে আলি।
প্রথমার্ধ শেষে টোটেনহামের বিপক্ষে ২-১ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় গ্রীসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস।
বিরতি থেকে ফিরেই যেন নতুন উদ্যমে খেলা শুরু করে স্বাগতিক টোটেনহাম। গেমপ্ল্যান বদলে দিয়েছেন দ্যা স্পেশাল ওয়ান মরিনহো। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই সমতায় ফেরে হটস্পাররা। খেলার ৫০ মিনিটে বক্সের ভিতরে লুকাসের পাস থেকে গোল করেন অধিনায়ক কেইন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৩ মিনিটে সনের এসিস্ট থেকে গোল করেন অরিয়ের। এই গোলে ৩-২ এর লিড নিয়ে এগিয়ে যায় মরিনহোর শিষ্যরা।
লিড নেয়ার রেশ কাটার আগেই আবারও ব্যবধান বাড়ান অধিনায়ক কেইন। ৭৭ মিনিটে এরিকসনের এসিস্ট থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৪-২ করেন কেইন।
নির্ধারিত সময় শেষে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক টোটেনহাম।
গ্রুপ বি তে ৫ ম্যাচ শেষে ৩ জয় নিয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে টোটেনহাম। ৫ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ।