বিভিন্ন সমীক্ষায় পাওয়া তথ্যানুসারে বিশ্বের ৭০ থেকে ৯০ ভাগ লোক ডানহাতি আর ১০ ভাগের মত বাহাতি। অবশ্য অল্প কিছু মানুষ উভয় হাতেই সমানভাবে দক্ষ। ডানহাতি মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ডেস্ক, কী-বোর্ড, কম্পিউটারের মাউস, ছুরি, কাঁচি, বাদ্যযন্ত্র, দরজা, এমনকি আগ্নয়াস্ত্রসহ আমাদের চারপাশের প্রায় সবকিছুই ডানহাতিদের কথা চিন্তা করে তৈরি। কাজেই প্রতিটি ক্ষেত্রেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় বাহাতিদের।
সামাজিকভাবে বাহাতি হওয়াটাকে কিছুটা খারাপ চোখে দেখার কারণে ছোট থেকেই বাহাতিদের দিয়ে জোর করে ডান হাতে কাজ করানোর চেষ্টা হয়। আবার যেহেতু সবকিছুই ডানহাতিদের কথা চিন্তা করে তৈরি, বাহাতিদেরও বাধ্য হয়েও ডান হাতে অনেক কাজ করতে হয়, যেটা তারা বাম হাতে করলে আরও বেশি দক্ষতার সাথে করতে পারতো।
কর্মক্ষেত্রে বাহাতিদের অসুবিধা দূরীকরণে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ‘লেফ্ট হ্যান্ডারস ইন্টারন্যাশনাল’ ১৯৭৬ সাল থেকে ১৩ আগস্টকে বিশ্ব বাহাতি দিবস হিসেবে উদযাপন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান, অভিনেতা টম ক্রুজ, ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা, ওয়াসিম আকরাম, সাকিব আল হাসানসহ বহু উদাহরণ হাজির করা যায় যারা বাহাতি হয়েও সফল হয়েছেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে সাঁতারের মত প্রতিযোগিতায় না হলেও যেসব ক্রিড়া আসরে সামনাসামনি লড়তে হয় যেমন, ক্রিকেট, মুষ্টিযুদ্ধ ইত্যাদিতে বাহাতিরা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সফল হয়েছেন।
কারণ হিসেবে বলা হয়, মানুষ ডানহাতি দেখতে অভ্যস্ত; তাই বাহাতির কাছ থেকেও সেরকম প্রতিক্রিয়া আশা করে। কিন্তু অন্য হাতে বা অন্য ভঙ্গিতে আক্রমণ করার বৈশিষ্ট্য বাহাতিদের এগিয়ে রাখে।