বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ব্যাংকের বিপক্ষে নেমেছিল তামিম ইকবালের দল। ৩০৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল তারা। সেই লক্ষ্যে একদম শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল সিটি ক্লাব। শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ১৬ রান। তামিম বল তুলে দেন শেখ মেহেদীর হাতে। ইনিংসের শেষ তিন বলে হ্যাটট্রিক করে দলকে তিনি এনে দেন দারুণ এক জয়।
ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে অধিনায়ক সাজ্জাদুল ইসলামকে স্ট্রাইক দেন আশিক উল আলম। সাজ্জাদ এদিন ভালোই খেলেছিলেন খেলেছেন ৩৪ বলে ৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সিটি ক্লাবকে দেখিয়েছেন জয়ের স্বপ্ন। স্ট্রাইকে এসেই ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছেন। পরের বলটায় লং অন দিয়ে মারেন ছক্কা। কিন্তু এরপরেই মেহেদীর জাদু।
চতুর্থ বলে আরেকবার উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে নাজমুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন ৭৬ রান করা সাজ্জাদুল। পরের দুই বলেও এলবিডব্লিউতে উইকেট পেয়ে যান শেখ মেহেদী। হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংককে এনে দেন তিন রানের জয়।
এবারের বিপিএলে ব্যাটে বলে ভালোই সময় পার করেছিলেন শেখ মেহেদী। ছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্তি সিরিজেও। ওয়ানডে দলে জায়গা হয়নি, তাই জাতীয় দলের নিয়মিত এই মুখ যোগ দিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। বিপিএলে সাকিব আল হাসানের সতীর্থ ছিলেন মেহেদী। ডিপিএলে সঙ্গী হলেন তামিমের। আর এবার দারুণ এক হ্যাটট্রিকে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংককে জেতালেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।
এর আগে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের টানা দ্বিতীয় শতকের সুবাদে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন তামিম। করেছেন মোটে ৬ রান। এরপরই দলের হাল ধরেন জাকির হাসান ও ইমন। ৭৭ বলে ৭৯ রান করে জাকির আউট হলেও উইকেটে টিকে থাকেন ইমন। ১১৩ বল থেকে ৫টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সেঞ্চুরির পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান দিপু এ দিন উইকেটে আসেন মিডলঅর্ডারে। ৩ বল খেলে ১ রান করে মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হন তিনি। আর মিঠুন করেছেন ৪২ রান। তাদের সম্মিলিত স্কোরের সুবাদে ৫০ ওভারে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রাইম ব্যাংক। বিপরীতে সিটি ক্লাব ৭ উইকেটে করে ৩০২ রান।