বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৯ রানে হেরে এশিয়া কাপ শুরু করায় সুপার ফোর নিশ্চিতের জন্য আফগানিস্তানকে সমাধান করতে হতো কঠিন এক সমীকরণের। রানরেটের মারপ্যাঁচে শেষ চার নিশ্চিতের জন্য লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যটা আফগানিস্তানকে টপকাতে হতো ৩৭.১ ওভারের ভেতর।
সুপার ফোরে নাম লেখানোর খুব কাছাকাছি চলেও গিয়েছিল আফগানিস্তান। ১ বলে প্রয়োজন ছিল তিন রানের। কিন্তু সেই তিন রান নেয়া সম্ভব হয়নি আফগানদের। উল্টো ২ রানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আফগানদের।
আফগান ব্যাটারদের মাথায় সে সময় রীতিমতো গেঁথে গিয়েছিল যে যে কোনো মূল্যে হোক বড় শটের মাধ্যমে ৩ রান নিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করা।
আর সেই লক্ষ্যেই বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হতে হয় মুজিব উর রহমানকে। আর তাতেই সকল সমীকরণের সমাপ্তি টেনে সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় আফগানিস্তানের।
কিন্তু ১ বলে তিন রান নেয়ার মিশনে আটকে থাকায় আফগানদের নজর এড়িয়ে গেছে সমীকরণের আড়ালে থাকা আরেকটি সমীকরণ। আর সেটি যদি টের পেতো তাহলে শেষ চারে খেলাটা হয়তো নিশ্চিত হতো রশিদ খানদের।
শেষ বলে বড় শট খেলার চেষ্টা না করে যদি দুই রান নিতে পারতেন মুজিব উর রহমান, তখন সেই দুই রানের সুবাদে ম্যাচটি টাই হতো। সেক্ষেত্রে জয়সূচক বা টাইব্রেকার ভঙ্গের রানটি বের করে আনতে এক বল অতিরিক্ত পেতো আফগানিস্তান।
এমনটা করলে তাতে পরিবর্তন আসতো না রানরেটে। সমীকরণের হিসেব মোতাবেক ম্যাচ জিতে রান রেটে এগিয়ে থেকেই সুপার ফোরের যাত্রী হতো আফগানিস্তান।
আর এই বিষয়টি যদি নজর না এড়াতো, তাহলে হয়তো বড় শটের পেছনে না ছুটে দুই রানের দিকেই লক্ষ্য রাখতেন মুজিব। সুপার কাপ নিশ্চিতের পাশাপাশি হয়তো দলও পেত জয়, আর ছিটকে যাওয়া লাগতো না তাদের এশিয়া কাপের মিশন থেকে।
এছাড়া আরও একটি দিক নজর এড়িয়ে গেছে তাদের। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে হাসারাঙ্গা মুজিবের উইকেট ত্রুলে নেওয়ার পর ফজল হক ফারুকি খেলার সুযোগ প্যেছিলেন দুটি বল। ৩৭.১ ওভারে আফগানদের স্কোর ছিলো ২৮৯ রান। অল আউট হওয়ার আগে পাওয়া দুই বলের একটিতে যদি ছক্কা হাঁকাতে পারতেন মুজিব, তাহলেও আফগানিস্তানের সামনে সম্ভাবনা ছিল সুপার ফোরে খেলার। কেননা ছক্কা হাঁকানোর কারণে বেড়ে যেত আফগানদের রানরেট। আর সেই রানরেটে এগিয়ে গিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতো আফগানরা।