পিছিয়ে পড়েও শক্তিশালী আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ দুর্দান্ত ফিরে আসা

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে আফগানিস্তান। সেই আফগানদের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করেছে জামাল ভূঁইয়ারা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সিরিজের প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও শেখ মোরসালিনের গোল ১-১ এর সমতায় শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার ফিফা দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে শক্তিশালী আফগানিস্তান তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। প্রথম ম্যাচে কিছুটা এলোমেলো আফগানরা এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে।

ম্যাচের শুরু থেকেই আজ দুই দলের খেলোয়াড়রা মেজাজ হারাচ্ছিলেন। তাই ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটেই ফাউল করে হলুদ কার্ড খেয়ে বসে সফরকারী দলের নাজারি। এরপরও আফগানদের আক্রমণে ধার একটুও কমেনি। তাদের ফরোয়ার্ডদের আটকাতে গিয়ে ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফাউল করে বসেন বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা।

এই ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই দলের ডাগ-আউট। এইসময় ম্যাচ পরিচালনায় নিয়োজিত নেপালি রেফারি বাংলাদেশের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও আফগান কোচ আব্দুল্লাহ আল মুতাইরিকেও লাল কার্ড দেখান। আর প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়েন দুই দল।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫২ মিনিটে সফরকারী আফগানিস্তান ম্যাচে লিড নেয়। কর্নার কিক থেকে জাভার সারজা আফগানদের লিড এনে দেন। পিছিয়ে পড়ার ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ফলে তার দশ মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশকে ম্যাচে সমতায় ফেরান তরুণ মিডফিল্ডার মোরসালিন।

গত ম্যাচে সহজ সুযোগ মিস করা উদীয়মান তারকা ফুটবলার শেখ মোরসালিন আজ অবশ্য ভুল করেননি। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বিশ্বনাথ ঘোষের বাড়ানো বলে গোলরক্ষকের সঙ্গে হাত মেলানো দূরত্বে প্লেসিংয়ে শুধু পা লাগিয়ে গোল করেন মোরসালিন। এতে ৬ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে তিন গোল করলেন এই ফুটবলার।

মোরসালিনের গোলের আগে আরেকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের বক্সের একটু সামনে ফ্রি কিক পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ফ্রি কিকটি মারলেও পোস্টের ওপর দিয়ে বল চলে যায় বাইরে।

৬৮ মিনিটে অধিনায়ক জামাল আরেকটি সুযোগ মিস করেন। বক্সের মধ্যে তার শট ডিফেন্ডাররা ব্লক করেন। সেটি অবশ্য বাংলাদেশ দল পেনাল্টির দাবি জানান। নেপালি রেফারি সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপরও দুই দল গোলের জন্য প্রাণপন চেষ্টা করে।

তবে আর কোনো গোল না হলে অমীমাংসিত থেকে যায় ম্যাচের ফল। আগের ম্যাচে গোলশূন্য অবস্থাতে ম্যাচ শেষ হওয়ায় দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ড্রতে।