পাকিস্তানকে উড়িয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস গড়া জয়

SportsZone24 SportsZone24

ওয়ানডেতে সাতবারের দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়-শূন্য ছিল আফগানিস্তান। কিছুতেই যেন পাক ধাঁধার সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলো না আফগানরা। অবশেষে সেই রহস্যের সমাধান দিলেন নূর আহমেদ! ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের ঘূর্ণিতে পাকিস্তানকে নাগালেই রেখেছিল আফগানরা। বাকি কাজটা সেরেছেন ব্যাটাররা। সবমিলিয়ে দুই বিভাগেই লেটার মার্ক তুললো আফগানিস্তান। তাতে ধরা দিল অধরা সেই জয়। সেটাও আবার বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে।

সোমবার চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। চার স্পিন নিয়ে একাদশ সাজানো আফগান ওই স্পিনেই ধরা খেয়েছে তারা। ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও অধিনায়ক বাবর আজমের ফিফটিতে এবং স্লগে শাদাব খান ও মোহাম্মদ ইফতিখার ভালো ব্যাটিং করলেও ৭ উইকেটে ২৮২ রানে আটকে যায় পাকিস্তান।

SportsZone24 SportsZone24

দলকে ৫৬ রানের জুটি দিয়ে প্রথমে ফিরে যান ইমাম উল (১৭)। পরে আব্দুল্লাহ ৭৫ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৮ রান করে আউট হন। তিনে নামা বাবর খেলেন ৯২ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৭৪ রানের ইনিংস। কিন্তু মিডলে মোহাম্মদ রিজওয়ান (৬) ও সৌদ শাকিল (২৫) ব্যর্থ হন। শাদাব খানের ৩৮ বলে ৪০ ও ইফতিখারের ২৭ চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংসে লড়াই করার পুঁজি পায় পাকিস্তান।

কিন্তু চেন্নাইয়ের উইকেটে পাকিস্তানের বোলাররা লড়াই করতে পারেননি। তরুণ দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাহ ও ইব্রাহিম জাদরান ফিফটি করে দলকে ১৩০ রানের জুটি দেন। ওই জুটিতেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। গুরবাজ ৫৩ বলে নয়টি চার ও এক ছক্কায় ৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ফেরেন। দারুণ খেলতে থাকা ইব্রাহিম সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। তিনি খেলেন ১১৩ বলে দশ চারের শটে ৮৭ রানের ইনিংস।

দলের ১৯০ রানে আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। পরের পথটা ধীরে-সুস্থে নির্বিঘ্নে পাড়ি দেন তিনে নামা রহমত শাহ ও অধিনায়ক হাসমউল্লাহ শাহেদি। রহমত খেলেন ৮৪ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন এই ব্যাটার। শাহেদির ব্যাট থেকে ৪৫ বলে তিন চারের শটে আসে ৪৮ রান।