শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটা ছিল সিরিজ নির্ধারণী। আর সেই ম্যাচটায় বাংলাদেশকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে লঙ্কানরা। ৫ উইকেটের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন পভন রাথনায়েক। কিন্তু ম্যাচের মাঝপথেই তিনি পেয়েছেন ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ।
রোববার (২২ অক্টোবর) ডাম্বুলায় বাংলাদেশের দেওয়া ২২৪ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩১.২ ওভারেই পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫৬ বলে ৮৫ রানের দারুণ ইনিংসে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন পভন রাথনায়েক।
এমন ইনিংস খেলার পথেই দুঃসংবাদ পেয়েছেন রাথনায়েক। বাবার মৃত্যুর সংবাদ পান তিনি। তবে সেই শোক বুকে নিয়েই খেলা চালিয়ে গিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ।
সদ্য মৃত বাবাকে বিদায় জানাতে দারুণ এক ইনিংসই খেলেছেন রাথনায়েক। ১১ চার ও ২ ছয়ে সাজানো তার ৮৫ রানের ইনিংসটাই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। রাথনায়েক যখন বিদায় নেন ততক্ষণেই শ্রীলঙ্কার জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। ২০.২ অভয়ায়েই স্কোরকার্ডে জমা পড়েছে ৩ উইকেটে ১৬২ রান।
ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেই নিজের বাড়িতে ফিরেছেন রাথনায়েক। বাবাকে শেষবারের মতো দেখবেন ডাম্বুলার এই ব্যাটার। এরপরই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া চারদিনের ম্যাচেও খেলবেন তিনি।
প্রিয়জনের মৃত্যুর শোক সঙ্গী করে খেলার উদাহরণ অবশ্য কম নয়। বিশ্বকাপের ময়দানে শচীন টেন্ডুলকারেরই আছে এমন দৃষ্টান্ত। বাবা রমেশ টেন্ডুলকারের মৃত্যুর পর মাঠে নেমেই কেনিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন টেন্ডুলকার।
বিরাট কোহলির জীবনেও আছে এমন ঘটনা। রঞ্জি ট্রফি খেলার সময়ই তার বাবা মারা যায়। সেই শোককে সঙ্গী করেই পরদিন মাঠে নেমে দিল্লির হয়ে লড়েছেন কোহলি।
২০২০ সালে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথেই মারা যান পেসার মোহাম্মদ সিরাজের বাবা। সিরাজের ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে তার বাবার ছিল বিশাল অবদান। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেও দেশে ফিরে আসেননি সিরাজ। সতীর্থদের উৎসাহ ও বাবাকে সম্মান জানাতেই থেকে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সে সিরিজে দারুণ বোলিং করে নজর কাড়েন তিনি।