ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ডবুকে উঠে গেলেন পাকিস্তানের শাদাব খান ও উসামা মীর। তাদের এ রেকর্ড কখনো ভাঙার নয়। আগে থেকেই ক্রিকেটে কনকাশন সাবের নিয়ম চালু করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু বিশ্বকাপের ইতিহাসে বিষয়টি কখনোই ব্যবহার হয়নি। কেননা এ নিয়মটি চালু হওয়ার পর এবারই ছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসর।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় চোট লাগে পাকিস্তানের সহ অধিনায়ক শাদাব খানের। ডাক্তাররা মাঠে এসে সেবা যত্ন নিলেও তিনি খেলার মতো ফিট ছিলেন। যার ফলে তার পরিবর্তে মাঠে নামেন আরেক লেগ স্পিনার উসামা মীর। কনকাশন সাবের নিয়মানুসারে তিনি শাদাবের পুরো ১০ ওভারই করতে পারবেন। আর এই ঘটনাটিই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ঘটলো। সামনে হয়তো আরও ঘটবে কিন্তু ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা জায়গা করে নিয়েছেন।
চেন্নাইয়ে এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করে ২৭০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ঘটনাটি ঘটে প্রোটিয়াদের ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ঘটনাটি ঘটে। ইফতিখারের বল ঠেলে দিয়ে রানের জন্য ছুটেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। মিড অন থেকে ছুটে এসে বল কুড়িয়ে বোলারের প্রান্তের ছোড়েন শাদাব। কিন্তু ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে তিনি মাটিতে আছাড় খান। মাথা গিয়ে সজোরে বাড়ি খায় মাটির সঙ্গে।
আর সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে পড়ে যান। মাঠের মধ্যেই বেশ কয়েক মিনিট তার চিকিৎসা চলে। শেষ পর্যন্ত তিনি সাপোর্ট স্টাফদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাকে নিতে মাঠে স্ট্রেচারও আনা হয়েছিল কিন্তু শাদাব হেঁটে হেঁটেই মাঠ ছাড়েন। পরবর্তীতে তিনি মাঠে নামলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ১৫তম ওভারে শাদাবের জায়গায় কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামেন উসামা মীর।